৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারলে দুর্নীতিবাজদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি তাদের অবৈধ অর্থ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণাকালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

আওয়ামী লীগের দ্বাদশ নির্বাচনী ইশতেহার পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি তার বক্তব্যে সংক্ষিপ্ত আকারে ইশতেহার তুলে ধরেন।

আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও অপরাধ দমন প্রসঙ্গে ইশতেহার ঘোষণার বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, পুঁজি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে ঘুষ-দুর্নীতি উচ্ছেদ, অনুপার্জিত আয় রোধ, ঋণ-কর-বিল খেলাপি ও দুর্নীতিবাজদের বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে শাস্তিদান এবং তাদের অবৈধ অর্থ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

মুদ্রা সরবরাহ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, মুদ্রা সরবরাহ ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের প্রধান উপায়-উপকরণ হবে নীতি সুদহার ব্যবহার। কর্মোপযোগী প্রশিক্ষিত যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ঋণ সরবরাহ সম্প্রসারণ করা হবে।

তিনি বলেন, আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা হবে, যা বৈদেশিক মুদ্রা সরবরাহে অনিশ্চয়তা লাঘব করবে। খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং এক্ষেত্রে ব্যাংক যাতে বিধি নির্ধারিত সঞ্চিতি রাখে তা নিশ্চিত করা হবে।

বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বেসরকারি খাতের গুরুত্ব অব্যাহত রাখবে এবং যুক্তিসংগত ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ ব্যবহার করবে।

অনুষ্ঠানে ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক স্বাগত বক্তব্য দেন। এরপর বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলের শীর্ষ নেতারা ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন।